গ্যাস ইঞ্জিন কি? গ্যাস ইঞ্জিন কতঁ প্রকার ও কি কি? সুবিধা অসুবিধা

 

Gasoline engine


গ্যাস ইঞ্জিন কি? 

গ্যাস ইঞ্জিন হচ্ছে ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিন যার জ্বালানী হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করা হয়। উদাহরন স্বরুপঃ কয়েল গ্যাস, প্রডিউসার গ্যাস,বায়োগ্যাস, ল্যন্ডফিল্ড গ্যাস বা প্রাক্রিতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। 

গ্যাস ইঞ্জিন তৈরি করা হয় পাওয়ার প্লান্ট এপলিকেশনের এর প্রয়োজনীয়তা এবং এর ব্যবহারের ভিত্তির উপর। এছাড়াও গ্যাস ইঞ্জিন প্যাসেঞ্জার অটোমোবাইলস, ছোট ট্রাকগুলোতে সচারচার ব্যবহার হয়ে থাকে। 

যে সব বিষয়ের উপর ভিত্তি করে গ্যাস ইঞ্জিনকে ভাগ করা হয়

১। এপলিকেশনের উপর

২। ফুয়েল ম্যনেজমেন্ট 

৩। ইগনিশন 

৪। পিসটন এবং সিলিন্ডার অথবা রোটর এরেঞ্জমেন্ট 

৫। প্রতি সাইকেলে স্ট্রোক 

৬। কুলিং সিস্টেম 

৭। ভাল্ব এর টাইপ এবং লোকেশনের উপর ভিত্তি করে গ্যাস ইঞ্জিন কে ভাগ করা হয়। 

উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে গ্যাস ইঞ্জিনকে প্রাথমিকভাবে ২ ভাগে ভাগ করা যায়

১। পিস্টন এবং সিলিন্ডার ইঞ্জিন 

২। রোটারী ইঞ্জিন 

পিস্টন এবং সিলিন্ডার ইঞ্জিন

piston and cylinder engine

পিস্টন এবং সিলিন্ডার ইঞ্জিনে গ্যাসের কম্বাশনে উৎপাদিত শক্তি হেডকে ধাক্কা দিয়ে পিস্টনকে সিলিন্ডার রেসিপ্রক্রেটিং অথব সামনে এবং পিছনের মোশন তৈরি করে এবং এর মাধ্যেমেই ঘুর্নন শক্তি উৎপন্ন হয়। সর্বপরী গ্যাসলীন ইঞ্জিনগুলোই হচ্ছে পিস্টন এবং সিলিন্ডার ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিং গুলো চার স্ট্রোক সাইকেল অথবা দুই স্ট্রোক সাইকেল দ্বারা চালিত হয়। নিচের চিত্রে পিস্টন এবং সিলিন্ডার ইঞ্জিন দেখানো হলঃ 


তিন প্রকার পিস্টন এবং সিলিন্ডার ইঞ্জিন

১। ফোর স্ট্রোক সাইকেল ( Four storke cycle)

২। দুই স্ট্রোক সাইকেল (Two stroke cycle)

৩। অপোসড পিস্টন ইঞ্জিন (Opposed piston engine)

রোটারী ইঞ্জিন

Rotary engine

রটারী পিস্টন ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিন জার্মানীতে তৈরি করা হয় যা ঘঠন একটু আলাদা কনভেনশনারল রেসিপ্রকেটিং পিস্টন ইঞ্জিনের তুলনায়। রোটারী ইঞ্জিনকে ওয়াঙ্কেল ইঞ্জিনও বলা হয়। এর রেসিপ্রকেটিং পিষ্টনে কোন কনভেনশনাল সিলিন্ডার যুক্ত করা নেই। এর পরিবর্তে গ্যাস প্রেসার রোটরের সারফেস এ কাজ করে । এই ইঞ্জিনে পিষ্টনের পরিবর্তে একটি ক্লোজ চেম্বারের মধ্যে রোটর থাকে এবং রোটরটি চেম্বারের মধ্যে ঘুরে। এই রোটরটির সাথে একটি শ্যাফট লাগানো থাকে। 

 পিস্টন এবং সিলিন্ডার ইঞ্জিনের উপাদানসমুহ 

১। সিলিন্ডার ব্লক 

২। কম্বাশন চেম্বার 

৩। পিষ্টন 

৪। কানেকটিং রড এবং ক্র্যঙ্কশ্যাফট 

৫। ভাল্ব, পুশ রড এবং রকার আর্ম 

৬। ক্যামশ্যাফট 

৭। ফ্লাই হুইল 

৮। বিয়ারিং 

৯। ইগনিশন 


১০। কার্বুরেটর 

১১। ফুয়েল ইনজেকশন 

১২। সুপার চার্জার 

১৩। কুলিং সিস্টেম 

১৪। লুব্রিকেশন সিস্টেম 

১৫। এক্সাস্ট সিস্টেম 

গ্যাসলিন ইঞ্জিনের সুবিধা 

১। নির্গমন অপেক্ষাক্রিত কম কোন প্রকার অতিরিক্ত নির্গমন সামগ্রী ছড়াই 

২। ওজন কম এবং সাইজে ছোট 

৩। উচ্চ আর পি এম এ টর্ক অথবা হর্স পাওয়ার উৎপাদন করতে পারে। 

৪। ইঞ্জিন উচ্চ স্পিডে চলতে পারে

৫। সার্ভিস এবং রিপিয়ারিং খরচ কম 

৬। প্রাথমিক ক্রয় খরচ কম

৭। নয়েজ এবং ভাইব্রেশন কম 

৮। সহজে জ্বালানী পাওয়া যায় 

৯। ছোট এবং বড় উভয় ইঞ্জিন ডিজাইন সহজ। 

গ্যাসলিন ইঞ্জিনের অসুবিধা 

১। আয়ুস্কাল কম 

২। থার্মাল দক্ষতা কম 

৩। পুরাতন অবস্থায় বিক্রিত দাম কম পাওয়া যায় 

৪। বড় ধরনের ট্রাকগুলোতে কম ওজনের ইঞ্জিন ব্যবহার হয় না। গ্যাসলিন ইঞ্জিনের ওজন তুলনামুলক কম হয় 

Gasoline engine

Our facebook group

0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post

Multiplex ads