Working Principle of a Transformer (ট্রান্সফরমারের কার্য নীতির ব্যাখ্য)। ট্রান্সফরমারের সতর্কতার বিষয়গুলো

Working Principle of a Transformer
ট্রান্সফরমার যা সিলিকন স্টিলের তৈরি যার ল্যামিনেটেড কোরে দুটি কয়েল প্যাচানো হয়। এই দুটি কয়েলের মধ্যে কোন ইলেক্ট্রিক সংযোগ দেওয়া হয় না। Working Principle of a Transformer

একটি কয়েলে AC সরবরাহ দিলে যে মিউচুয়াল ফ্লাক্সের তৈরি হয় তা সেকেন্ড কয়েলে প্রবাহিত হয়। যে কয়েলে প্রবাহিত হয় সেটা প্রাইমারী কয়েল এবং দ্বিতীয়টিকে সেকেন্ডারী কয়েল বলা হয়। এখানে উল্লেখ্য যে মিউচুয়াল ফ্লাক্স পরিবর্তনশীল হওয়ায় প্রাইমারী এবং সেকেন্ডারী উভয় কয়েলে ভোল্টেজ উৎপন্ন হয় যেটাকেই ট্রানফর্মারের মূলনীতি বা কার্যনীতি হিসেবে ধরা হয়। সেকেন্ডারী কয়েলে যদি ভোল্টেজ দেওয়া হয় তবে লোড চলতে থাকে। Working Principle of a Transformer 
ফ্যরাডের তড়িৎ চুম্বকায় আবেশের সূত্র হতে ইএমএফ আবিষ্ট হতে তিনটি জিনিসের দরকার হয়।
১। পরিবাহী;২। চুম্বকক্ষেত্র এবং ৩। চুম্বকক্ষেত্র ও কন্ডাষ্টরের মধ্যে সম্পর্কিত গতি।
এদের মধ্যে একটি অনুপস্থিত হলে থাকলে Emf উৎপন্ন হবে না। এ কারনেই DC সরবরাহে ট্রান্সফরমার কাজ করে না কারণ DC তে কন্সট্যান্ট ফ্লাক্স উৎপন্ন হয়। যদি DC দেওয়া হয় তবে মিউচুয়াল ফ্লাক্স পরিবর্তনশীল হয় না। তাই প্রাইমারি ও সেকেন্ডারিতে কোন ভোল্টেজ উৎপন্ন হয় না। আবার DC তে শুধুমাত্র DC রোধ কাজ করায় প্রাইমারি কারেন্টের পরিমাণ খুব বেশি হয়। ফলে ট্রান্সফরমার প্রাইমারি কয়েল গরম হয়ে পুড়ে যেতে পারে। তাই ট্রান্সফরমারে DC সরবরাহ দেওয়া যাবে না। ট্রান্সফরমার ফ্যারাডের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন নীতিতে কাজ করে।

ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশনের মূলনীতি হল:
প্রতি সেকেন্ডে 108 ম্যাক্সওয়েল ফ্লাক্স কোন কন্ডাক্টরের প্যচকে ছেদ করলে ঐ কন্ডাক্টরে এক ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়।

The structure of the transformer (ট্রান্সফর্মারের গঠন)

  The structure of the transformer

কোন ট্রান্সফরমারের প্রাইমারি কয়েলে যখন পরিবর্তনশীল ভল্টেজ উৎস হতে সরবরাহ করা হয় তখন প্রাইমারি কয়েলে পরিবর্তনশীল চুম্বকক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়ে থাকে।চুম্বক ক্ষেত্রের ফ্লাক্স কোরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে উভয় কয়েলের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। তাই ফ্যারাডের বিদ্যুৎ চুম্বকীয় আবেশের সূত্র অনুযায়ী উভয় কয়েলে e.m.f আবেশিত হয় এবং প্রাইমারি কয়েলে আবেশিত e.m.f কে self induced e.m.f , সেকেন্ডারি কয়েলে আবেশিত e.m.f কে Mutual induced e.m.f বলা হয়। উভয় কয়েলে আবেশিত e.m.f-এর মান এদের নিজস্ব প্যাচ সংখ্যার সমানুপাতিক হয়। ট্রান্সফরমারের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে খেয়াল রাখতে হবে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোঃ
  • উভয় কয়েলের মধ্যে কোনরূপ বৈদ্যুতিক সংযোগ ছাড়াই এটি বৈদ্যুতিক এনার্জি এক বর্তনী হতে অন্য বর্তনীতে ট্রান্সফার করে থাকে।
  • এটা হবার সময় ফ্রিকুয়েন্সি অপরিবর্তিত থাকে।
  • এটি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন নীতিতে কাজ করে থাকে ।
  • এর কয়েলদ্বয় একটি অভিন্ন আয়রন কোর দ্বারা চুম্বকীয়ভাবে সংযুক্ত থাকে।
  • উভয় কয়েলের পাওয়ার সবসময় সমান থাকে।
  • ভোল্টেজ এবং কারেন্টের পরিমাণ কয়েলদ্বয়ের পাক সংখ্যা এবং সাইজের উপর নির্ভর করে।
  • নিম্ন ভোল্টেজ সাইডে প্যাচ সংখ্যা কম এবং কারেন্ট বেশি হওয়ায় এর তার মোটা হয়।
  • উচ্চ ভোল্টেজ সাইডে প্যাচ সংখ্যা বেশি এবং কারেন্ট কম থাকায় এর তার চিকন হয়।
  • দুটি বৈদ্যুতিক বর্তনী একে অপরের সাথে চৌম্বক ফ্লাক্সের দ্বারা সংযুক্ত থাকে।
Read more: 

0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post

Multiplex ads