গাড়ির কুলিং সিস্টেম কি এবং এটা কিভাবে কাজ করে? (Car cooling system and how car cooling system works)

how car cooling system works

গাড়ির কুলিং সিস্টেম (Car cooling system)

আমাদের গরম লাগলে যেমন ফ্যান এসি ছেড়ে দেই এবং ঠান্ডা হই ঠিক তেমনি গাড়ির ইঞ্জিনের ও গরম অনুভুত হলে ঠান্ডা হওয়ার দরকার হয়।how car cooling system works

ইঞ্জিন চলার জন্য যতটুকু তাপমাত্রা প্রয়োজন তার থেকে বেশি হলেই গাড়ি অটোমেটিক ফ্যান দিয়ে  রেডিয়েটর এ কুল্যান্ট ঠান্ডা করে নিজে ঠান্ডা হয়। এজন্য  ইঞ্জিন চলার জন্য কুল্যান্ট এর তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি এর নিচে হওয়া দরকার। সেটা হতে পারে ৮০-৮৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা। আরে কুল্যান্ট এ পানিই বেশি ব্যবহার করা হয়। 

এক্ষেত্রে একটা বিষয় লক্ষনীয় যে Coolant হিসেবে পানি ব্যবহার করলে ত সেটা ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ফুটতে শুরু করে আর যখন ফুটতে শুরু করে তখন সেটি বাস্পে পরিনিত হয়। আর পানি বাস্পে পরিনিত হলে এর ভলিউম এবং চাপ দুটোই বাড়তে থাকে। যার ফলে প্রেসার বেশি হলে যেদিকে নরম যায়গা পাবে সেদিকে বেড় হয়ে আসবে বা ফেটে যাবে। আমরা মাঝে মাঝেই শুনে থাকি যে রেডিয়েটর ট্যাংক ফেটে গেছে বা পাইপ খুলে গেছে। এটি যে কারনে হতে পারে তা হচ্ছে ফ্যান না চললে অথবা পানি কম থাকলে এছাড়াও কারন হিসেবে ধরা যেতে পারে ফ্যানের স্পিড কম থাকলে। 

 তাই ফ্যনের কাজ ব্যবহৃত কুল্যান্ট এর তাপমাত্রা ৯০ বা এর কাছাকাছি আসলেই ফ্যান অন হয়ে কুল্যান্ট ঠান্ডা করা। ফ্যানকে নিয়ন্ত্রন করে কুল্যান্ট টেম্পেরেচার সেন্সর(Temperature sensor) । 

সম্পুর্ন প্রক্রিয়াটি  যেভাবে কাজ করে (how car cooling system works) 

ইঞ্জিনের  টেম্পারেচার কন্ট্রোলে রাখার জন্য কুল্যান্ট ইঞ্জিনের মধ্যেই থাকে। তাই তাপমাত্রা বাড়লে ইঞ্জিন থেকে রেডিয়েটর পর্যন্ত  কুল্যান্ট সার্কুলেশন করার জন্য পানির পাম্প ব্যবহার করা হয়।

কুল্যান্ট সার্কুলেশন পদ্ধতি টা এই চক্রে কাজ করেঃ  

ইঞ্জিন=>>ওয়াটার পাম্প =>>রেডিয়েটর =>>ইঞ্জিন

এই পদ্ধতিতে রেডিয়েটর যে কাজ করে তা হল কুল্যান্টকে  ঠান্ডা করে আবার ইঞ্জিনে পাঠানো। সম্পুর্ন পদ্ধতিটা এভাব চলে এবং  সার্কুলেশন নিয়ন্ত্রনের জন্য  ইঞ্জিনে থার্মোস্ট্যাট ইউজ করা হয় পাম্প পরিচালনার জন্য ।এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে কুল্যন্ট কম থাকলে ইঞ্জিন ওভারহিট হয়ে যেতে পারে। তাই নির্দিষ্ট পরিমান কুল্যন্ট রাখা দরকার অথবা নিয়মিত কুল্যান্ট লেভেল চেক করা উচিৎ। কম থাকলে কুল্যান্ট ফিল করতে হয়। 

থার্মোস্ট্যাট একটি গুরুত্তপুর্ন উপাদান যা  কুল্যান্ট এর গেইট হিসেবে ইউজ হয়। কুল্যান্ট টেম্পারেচার ৮০ এর উপরে গেলেই  থার্মোস্ট্যাট খুলতে শুরু করে ফলে কুল্যান্ট ইঞ্জিন থেকে রেডিয়েটরে যেতে পারে। যে কোনো কারনে থার্মোস্ট্যাট স্টাক বা নষ্ট হলে কুল্যান্ট রেডিয়েটরে সার্কুলেট হতে পারে, ফলে ইঞ্জিন ওভারহিট হয়। বেশিরভাগ  মেকানিকরা এটা খুলে ফেলে দেয় যাতে এক্সিডেন্ট না ঘটতে পারে।  

কুল্যান্ট হিসেবে পানি ইউজ করা যাবে কিনা?

how car cooling system works

অবশ্যাই যাবে। এক্সিডেন্টাল যদি কুলান্ট কমে যায় তাহলে পানি ব্যবহার করে আবার চেঞ্জ করে ফেলতে হবে। 

তাহলে কুল্যান্ট এ কি পানি ইউজ হয় না? হ্য হয় তবে সেটা ৫০% পানি তবে সেটা ডি-মিনারেলাইজড হতে হবে। কেননা ইঞ্জিনে মেটাল হওয়াতে এতে মরিচা পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে । তাই সরাসরি মিনারেল ওয়াটার ইউজ করা যাবে না। তাই আপনি যদি আপনার গাড়িতে কুল্যান্ট ইউজ করতে চান তাহলে মার্কেটে প্রি-মিক্সড কুল্যান্ট পাওয়া যায় সেগুলো ইউজ করবেন অথবা ১ লিটার হিসেব কুল্যান্ট পাওয়া যায়। টোটাল ভলিউমের ৫০% কুল্যান্ট +৫০% ডি-মিনারেলাইজড ওয়াটার ইউজ করবেন। 

ওভারহিট থেকে আপনার গাড়ির ইঞ্জিন যদি বাচাতে চান তাহলে  নিয়মিত  নিচের জিনিস গুলা চেক করবেনঃ- 

1. রেডিয়েটর প্রেশার ক্যাপ চেক করতে হবে। 
2. কুল্যান্ট লেভেল।  ইঞ্জিন ঠান্ডা অবস্থায় রেডিয়েটর প্রেশার ক্যাপ খুলে দেখবেন যে কুল্যান্ট ফুল আছে কিনা।আর রিজার্ভ ট্যাংক লেভেল FULL বরাবর থাকবে 
3. কুল্যান্ট লিকেজ চেক করবেন। লিকেজ দেখা দিলেই লিক ঠিক করবেন। কুল্যান্ট কমতে থাকলে প্রথমেই রেডিয়েটর লিকেজ চেক করবেন। অনেক সময় ফিন্স এ সুক্ষ ছিদ্র থাকে যার ফলে লিকেজ দেখা যেতে নাও পারে। 
4. ফ্যান চেক করতে হবে। 
5. ফ্যান বেল্ট চেক করতে হবে। 
6. ওয়াটার পাম্প চেক করতে হবে। 
7. প্লাস্টিক হোজ গুলোচেক করতে হবে। 

how car cooling system works types of pumps hydraulic cooling system 

আরো ব্লগ পড়ুনঃ 

0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post

Multiplex ads